আর্থিক দুর্নীতির মামলায় সোমবার ফের বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজকে জিজ্ঞাসাবাদ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জেরে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের।

২১৫ কোটির আর্থিক দুর্নীতির মামলায় ফের একবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের জেরার মুখে পড়লেন এ বলিউড সুন্দরী। আপাতত জেলে আছেন সুকেশ চন্দ্রশেখর। এই মামলায় ইডির নজরে ছিলেন জ্যাকুলিনও, সুকেশের সঙ্গে প্রেম সম্পর্কে ছিলেন অভিনেত্রী— এমন তথ্যই উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমে।

 

তবে এই নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি জ্যাকুলিন।

সোমবার দিল্লিতে ইডির সদর দপ্তরে হাজিরা দেন জ্যাকুলিন। কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে সমন পাঠানো হয়েছিল নায়িকাকে। প্রিভেনসন অব মানিলন্ডারিং অ্যাক্টের আওতায় গত এপ্রিলে অভিনেত্রীর ৭.২৭ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ইডি।

দিল্লি পুলিশের ইকোনমিক উইংসের তরফে দায়ের এফআইআরের ভিত্তিতে আপাতত এ মামলার তদন্ত করছে ইডি। সরকারি আধিকারিক সেজে একাধিক ব্যক্তির থেকে টাকা হাতিয়েছেন সুকেশ চন্দ্রশেখর। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এ মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হন সুকেশ এবং তার স্ত্রী লীনা মারিয়া পল।

 

গ্রেফতারের পর সুকেশের সঙ্গে জ্যাকুলিনের ঘনিষ্ঠতার কথা প্রকাশ্যে আসে। তদন্তকারীদের সুকেশ জানান, অভিনেত্রীকে ৫.৭১ কোটি টাকার উপহার দিয়েছে সে। বেআইনিভাবে অর্জিত টাকা থেকেই জ্যাকুলিনকে ওই দামি দামি উপহার দিয়েছেন সুকেশ। অভিনেত্রীর পরিবারের লোকজনকেও কোটি কোটি টাকা দিয়েছেন তিনি। জ্যাকুলিনের সঙ্গে সম্পর্কে থাকার কথা নিজের মুখে জানিয়েছে সুকেশ।

সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে ব্যক্তিগত মুহূর্তের একাধিক ছবি ফাঁস হওয়া নিয়ে জ্যাকুলিন একটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট লেখেন। সেখানে নায়িকা জানান— ‘আমি এখন কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। তবে পরিবার ও অনুরাগীদের সহায়তায় এই পরিস্থিতি আমি কাটিয়ে উঠব’। সুকেশের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত ছবি ছড়িয়ে না দেওয়ার অনুরোধ জানান নায়িকা।